বুধবার, ০৩ মার্চ ২০২১, ০৩:২২ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কুষ্টিয়ায় সড়ক নির্মাণ নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে ও কুষ্টিয়া পৌরসভার মধ্যে দড়ি টানা টানি এখন জনগনের গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে।শহরের বাবর আলী গেইট থেকে রেললাইনের পাশ দিয়ে কোর্ট স্টেশন পর্যন্ত সড়ক নির্মান নিয়ে উভয়ই মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে।রাস্তাটি উদ্বোধনেই আগেই মাঝপথে থেমে গেছে।ইতোমধ্যেেই এই নির্মাণ খাতে কুষ্টিয়া পৌরসভা ১০কোটি টাকা খরচ করে ফেলেছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এই রাস্তার প্রবেশ পথের দু’পাশে লোহার বেড়িকেড দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছে।এতে ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকার মানুষ।পৌরসভা বলছে এন এস রোডের ভীর কমাতে এই রাস্তার কাজ শুরু করেছে। রেলওয়ে বলছে আমাদের অনুমতি না নিয়েই অপরিকল্পিত ভাবে রাস্তা তৈরীর কাজে হাত দিয়েছে পৌরসভা।এতে ঝুঁকিতে পড়বে রেল লাইন।তবে সরোজমিনে দেখা গেছে ইতোপূর্বে ওখানে একটি ১০ফুট চওড়া ইটের রাস্তা ও পাকা ড্রেন ছিল।বিষয়টি নিয়ে এলাকার মানুষ জেলা প্রশাসকের নিকট মানববন্ধনসহ স্মারকলিপি দিয়েও কাজ হয় নি।।জানা যায় গত বছর কুষ্টিয়া পৌরসভা শহরের বাবর আলী গেইট থেকে কোর্ট ষ্টেশন পর্যন্ত ১৫ ফিট চওড়া আর.সি.সি ঢালাই রাস্তা ও পাকা ড্রেন নির্মান কাজ শুরু করে। রাস্তাটির কাজ বাবর আলী গেইট থেকে শুরু হয়ে কুষ্টিয়া মিউনিসিপ্যাল বাজার পর্যন্ত আসলে বিষয়টি রেলওয়ের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের নজরে আসে। ২০২০সালের ০৬ অক্টোবর বাংলাদেশ রেলওয়ের পাকশী ডিভিশনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট ও ষ্ট্রেট অফিসার মোঃ নুরুজ্জামান কুষ্টিয়া শহরের রেলওয়ের জমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে মাঠে নামেন। এ সময় তিনি ঐ এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদ করেন এবং ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে অর্থদন্ড আদায় করেন। রেলের পাশে রাস্তা নির্মাণ দেখে তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এর কয়েকদিন পর লোহার ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তাটি বন্ধ করে দেয় রেলওয়ে কতৃপক্ষ। বাবর আলী গেইট, মিউনিসিপ্যাল বাজার ও কোর্ট ষ্টেশন এলাকায় মোট তিন জায়গায় লোহার ব্যারিকেড দেয়া হয়। সম্প্রতি দুই কতৃপক্ষের রেষারেষিতে বেড়িকেড আরো মজবুত করা হয়েছে।
Leave a Reply