ঢাকা ০৮:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চলাচলের অযোগ্য নাগেশ্বরীর নাওডাঙ্গা ব্রিজ

আতিকুর রহমান, নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৫:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৩৮ বার পড়া হয়েছে

জীবনের প্রয়োজনেই যখন তৈরি করা হয়েছে ব্রিজ- সে ব্রিজটিই যেন আজ হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে জীবনের। বলছিলাম উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের নাওডাঙ্গা ব্রিজের কথা। দুপাশের রেলিংহীন ব্রিজের ভাঙাচোরা পাটাতন, ধসে পরার আশঙ্কা যেকোনো মুহূর্তেই। শুধু তাই নয়- বিশাল এক গর্ত পরেছে ব্রিজের মোকাতেও। সব মিলিয়ে সাধারণের চলাচলের মুহূর্তেই ঘটতে পারে প্রাণনাশের মতো দুর্ঘটনা। এ অবস্থাও দৃষ্টি কারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। তবুও জীবন ও জীবিকার তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে ১০টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষের।

সরেজমিনে দেখা যায় কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের আলাপের তেপতি থেকে সন্তোষপুরপুর, নাওডাঙ্গাপাড়া, কুটি নাওডাঙ্গা স্কুলেরহাট, তালেবেরহাট হয়ে বয়তুল্লার মোড়ের মাঝামাঝি নাওডাঙ্গা ও নিমকুশ্যা বিলের উপর নির্মিত এই ব্রিজ। ব্রিজের উপর দিয়ে যাতায়াত করে নেওয়াশী, রায়গঞ্জ, সন্তোষপুর, রামখানা ইউনিয়নের ব্যাপারীহাট, নিলুরখামার, গোপালপুর, ধনী গাগলা, শিয়ালকান্দা, আমতলা, উত্তম খানা, গাগলা, তালেবেরহাট, কুটি নাওডাঙ্গা এলাকাসহ ৪ ইউনিয়নের প্রায় ১০ গ্রামের ২০ হাজার মানুষ।

 

এছাড়াও সন্তোষপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, সন্তোষপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুটি নাওডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মন্ডলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সৃষ্টি মডেল পাবলিক স্কুল ও সূর্যমুখী শিশু নিকেতনসহ কয়েকটি স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। রাতের অন্ধকারে পথ চলতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে পথচারীরা।

ব্রিজের করুণ অবস্থা হওয়ায় ভয়ে স্কুলেও যেতে চায় না কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। যেন এসব এলাকার মানুষের ভাগ্যের বিপরীতে এই ব্রিজ। তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি কাজ, হাটবাজার করাসহ বাচ্চাদের স্কুলে যাতায়াত বড় কষ্টের। তাদের দাবি অবিলম্বে ব্রিজটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করে ব্রিজ থেকে আলেপের তেপতি সড়কের তালতলা পর্যন্ত কাচা রাস্তাটির পাকাকরণের জোড় দাবি জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয় আনোয়ার হোসেন, ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান মিজু, হারুন-উর রসিদ, হাসেম আলি জানায়, এ ব্রিজ দিয়ে ভারী কোন যানবাহন পাড় করা যায় না। কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য হাটবাজারে নিয়ে যাওয়াও কষ্টসাধ্য হয়েছে। অপরদিকে ব্রিজ থেকে সন্তোষপুর নাওডাঙ্গাপাড়া হয়ে তালতলা পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তা কাচা থাকায় বৃষ্টিতে হাঁটুকাদা জমে চলাচল করা দুরূহ হয়ে পড়েছে। তবুও সুদৃষ্টি নেই কর্তৃপক্ষের।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আসিফ ইকবাল রাজিব (অ.দা.) জানান, বিষয়টি আমি অবগত না। তবে সরজমিন তদন্ত করে দেখতে হবে কী অবস্থা। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
39
অনলাইন জরিপ

জামায়াত বিএনপির সঙ্গ ত্যাগ করায় বিএনপির সঙ্গে অন্যান্য ইসলামী ধারার দলগুলোর দূরত্ব কমার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন কি?

ব্রেকিং নিউজ

চলাচলের অযোগ্য নাগেশ্বরীর নাওডাঙ্গা ব্রিজ

আপডেট সময় : ০৬:৩৫:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৪

জীবনের প্রয়োজনেই যখন তৈরি করা হয়েছে ব্রিজ- সে ব্রিজটিই যেন আজ হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে জীবনের। বলছিলাম উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের নাওডাঙ্গা ব্রিজের কথা। দুপাশের রেলিংহীন ব্রিজের ভাঙাচোরা পাটাতন, ধসে পরার আশঙ্কা যেকোনো মুহূর্তেই। শুধু তাই নয়- বিশাল এক গর্ত পরেছে ব্রিজের মোকাতেও। সব মিলিয়ে সাধারণের চলাচলের মুহূর্তেই ঘটতে পারে প্রাণনাশের মতো দুর্ঘটনা। এ অবস্থাও দৃষ্টি কারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। তবুও জীবন ও জীবিকার তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে ১০টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষের।

সরেজমিনে দেখা যায় কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের আলাপের তেপতি থেকে সন্তোষপুরপুর, নাওডাঙ্গাপাড়া, কুটি নাওডাঙ্গা স্কুলেরহাট, তালেবেরহাট হয়ে বয়তুল্লার মোড়ের মাঝামাঝি নাওডাঙ্গা ও নিমকুশ্যা বিলের উপর নির্মিত এই ব্রিজ। ব্রিজের উপর দিয়ে যাতায়াত করে নেওয়াশী, রায়গঞ্জ, সন্তোষপুর, রামখানা ইউনিয়নের ব্যাপারীহাট, নিলুরখামার, গোপালপুর, ধনী গাগলা, শিয়ালকান্দা, আমতলা, উত্তম খানা, গাগলা, তালেবেরহাট, কুটি নাওডাঙ্গা এলাকাসহ ৪ ইউনিয়নের প্রায় ১০ গ্রামের ২০ হাজার মানুষ।

 

এছাড়াও সন্তোষপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, সন্তোষপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুটি নাওডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মন্ডলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সৃষ্টি মডেল পাবলিক স্কুল ও সূর্যমুখী শিশু নিকেতনসহ কয়েকটি স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। রাতের অন্ধকারে পথ চলতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে পথচারীরা।

ব্রিজের করুণ অবস্থা হওয়ায় ভয়ে স্কুলেও যেতে চায় না কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। যেন এসব এলাকার মানুষের ভাগ্যের বিপরীতে এই ব্রিজ। তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি কাজ, হাটবাজার করাসহ বাচ্চাদের স্কুলে যাতায়াত বড় কষ্টের। তাদের দাবি অবিলম্বে ব্রিজটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করে ব্রিজ থেকে আলেপের তেপতি সড়কের তালতলা পর্যন্ত কাচা রাস্তাটির পাকাকরণের জোড় দাবি জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয় আনোয়ার হোসেন, ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান মিজু, হারুন-উর রসিদ, হাসেম আলি জানায়, এ ব্রিজ দিয়ে ভারী কোন যানবাহন পাড় করা যায় না। কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য হাটবাজারে নিয়ে যাওয়াও কষ্টসাধ্য হয়েছে। অপরদিকে ব্রিজ থেকে সন্তোষপুর নাওডাঙ্গাপাড়া হয়ে তালতলা পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তা কাচা থাকায় বৃষ্টিতে হাঁটুকাদা জমে চলাচল করা দুরূহ হয়ে পড়েছে। তবুও সুদৃষ্টি নেই কর্তৃপক্ষের।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আসিফ ইকবাল রাজিব (অ.দা.) জানান, বিষয়টি আমি অবগত না। তবে সরজমিন তদন্ত করে দেখতে হবে কী অবস্থা। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।