ঢাকা ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দৈনন্দিন ইসলামী প্রশ্ন-উত্তর

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:১৯:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩
  • / ১৫২ বার পড়া হয়েছে

খাঁচায় বন্দি করে পাখি পালন করা

প্রশ্ন : শখের বশে বা বাচ্চাদের বিনোদনের জন্য বাসা-বাড়িতে খাঁচায় বন্দি করে পাখি পোষা সম্পর্কে ইসলামের বিধান কী? এবং এ বিষয়ে কোরআন-হাদিসে উৎসাহ প্রদানের কথা আছে কি?
আব্দুল মজিদ, কুমিল্লা

উত্তর : খাঁচায় বন্দি করে পাখি পোষা সম্পর্কে কোরআন-হাদিসে কোনো প্রকার উৎসাহ প্রদান করা হয়নি।

তবে তাকে কোনো কষ্ট না দেওয়া এবং খাবারদাবারের প্রতি যত্নবান হওয়ার শর্তে ইসলামী আইনজ্ঞরা জায়েজ বলেছেন। (বুখারি, হাদিস : ৬২০৩, ফাতহুল বারি : ১০/৭১৫, রদ্দুল মুহতার : ৬/৪০১)

মুসাফির অবস্থায় সুন্নত পড়া

প্রশ্ন : আমাকে প্রায় সময় সফরে থাকতে হয়। মুসাফির সফর অবস্থায় কসর নামাজ পড়লে সুন্নত নামাজ পড়তে হবে কি?
রয়েল রানা, ফেনী
উত্তর : মুসাফির নিরাপদে অবস্থান করলে এবং কোনো ধরনের তাড়াহুড়া না থাকলে, সুন্নতে মুয়াক্কাদা আদায় করবে।
বিজ্ঞাপন
অন্যথায় আদায় না করলেও সমস্যা নেই। (আদ্দুররুল মুখতার : ১/১০৮, আল বাহরুর রায়েক : ২/২২৯, ফাতাওয়ায়ে রহিমিয়া : ৫/৪)

একাই মুরগি জবাই করা

প্রশ্ন : মুরগি একজনে ধরে জবাই করলে কি সহিহ হবে? মুরগি জবাই করার পর আমরা সাধারণ যেসব দোকানে সরু, চিকন কিছু স্ট্যান্ড দেখতে পাই সেগুলোতে মুরগি উপুড় করে রেখে দেওয়া হয়। এ রকম করলে কি সহিহ হবে?
আব্দুল্লাহ নাজিব, পঞ্চগড়

উত্তর : একজনে ধরে মুরগি জবাই করা ও স্ট্যান্ডে মুরগিকে উপুড় করে রেখে দেওয়া জায়েজ। তবে প্রাণীকে অযথা কষ্ট দেওয়া মাকরুহ। (মুসলিম : ৩/৫৬১, রদ্দুল মুহতার : ৯/৪২৪, কেফায়াতুল মুফতি : ১১/৬৩৫)

স্বামী ফরজ হজে যেতে না দিলে

প্রশ্ন : এক নারীর ওপর হজ ফরজ হলে তিনি তাঁর স্বামীকে জানানোর পর স্বামী তাঁকে নিয়ে হজে যেতে নিষেধ করেন, অতঃপর স্ত্রী মাহরাম পাওয়ার পর যখন হজে যেতে চাইলেন তখন স্বামী কঠোরভাবে নিষেধ করলেন। এখন জানার বিষয় হলো, এ অবস্থায় স্ত্রী হজে যেতে পারবে কি? এ ক্ষেত্রে স্ত্রীর করণীয় কী?
জাহেদুল ইসলাম, নওগাঁ

উত্তর: স্ত্রীর ওপর হজ ফরজ হওয়ার পর স্বামীর কর্তব্য মাহরাম হিসেবে তাঁর সঙ্গে গিয়ে হজ আদায়ে সাহায্য করা। যদি নিজে যেতে অপারগ হয় তাহলে ইসলামসম্মত উপযুক্ত অন্য কোনো মাহরাম পাওয়া গেলে স্বামী তাঁকে বাধা দেওয়ার অধিকার রাখে না। তাই প্রশ্নোক্ত অবস্থায় স্ত্রীর কর্তব্য হলো প্রথমে স্বামীকে সঙ্গে যেতে রাজি করানো। অথবা তাঁর পছন্দের মাহরামের সঙ্গে যাওয়ার অনুমতি প্রদানের জন্য নিজে অথবা কারো মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করা। (আদ্দুররুল মুখতার : ৬/৪৬৫, রদ্দুল মুহতার : ৬/৪৬৫, আল বাহরুর রায়েক : ২/২৪৩)।

সৌজন্য: দৈনিক কালের কণ্ঠ

দৈনন্দিন বিভিন্ন প্রশ্নের শরিয়ত সম্মত উত্তর দিয়েছে ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বাংলাদেশ, বসুন্ধরা, ঢাকা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
39
অনলাইন জরিপ

জামায়াত বিএনপির সঙ্গ ত্যাগ করায় বিএনপির সঙ্গে অন্যান্য ইসলামী ধারার দলগুলোর দূরত্ব কমার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন কি?

ব্রেকিং নিউজ

দৈনন্দিন ইসলামী প্রশ্ন-উত্তর

আপডেট সময় : ১২:১৯:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩

খাঁচায় বন্দি করে পাখি পালন করা

প্রশ্ন : শখের বশে বা বাচ্চাদের বিনোদনের জন্য বাসা-বাড়িতে খাঁচায় বন্দি করে পাখি পোষা সম্পর্কে ইসলামের বিধান কী? এবং এ বিষয়ে কোরআন-হাদিসে উৎসাহ প্রদানের কথা আছে কি?
আব্দুল মজিদ, কুমিল্লা

উত্তর : খাঁচায় বন্দি করে পাখি পোষা সম্পর্কে কোরআন-হাদিসে কোনো প্রকার উৎসাহ প্রদান করা হয়নি।

তবে তাকে কোনো কষ্ট না দেওয়া এবং খাবারদাবারের প্রতি যত্নবান হওয়ার শর্তে ইসলামী আইনজ্ঞরা জায়েজ বলেছেন। (বুখারি, হাদিস : ৬২০৩, ফাতহুল বারি : ১০/৭১৫, রদ্দুল মুহতার : ৬/৪০১)

মুসাফির অবস্থায় সুন্নত পড়া

প্রশ্ন : আমাকে প্রায় সময় সফরে থাকতে হয়। মুসাফির সফর অবস্থায় কসর নামাজ পড়লে সুন্নত নামাজ পড়তে হবে কি?
রয়েল রানা, ফেনী
উত্তর : মুসাফির নিরাপদে অবস্থান করলে এবং কোনো ধরনের তাড়াহুড়া না থাকলে, সুন্নতে মুয়াক্কাদা আদায় করবে।
বিজ্ঞাপন
অন্যথায় আদায় না করলেও সমস্যা নেই। (আদ্দুররুল মুখতার : ১/১০৮, আল বাহরুর রায়েক : ২/২২৯, ফাতাওয়ায়ে রহিমিয়া : ৫/৪)

একাই মুরগি জবাই করা

প্রশ্ন : মুরগি একজনে ধরে জবাই করলে কি সহিহ হবে? মুরগি জবাই করার পর আমরা সাধারণ যেসব দোকানে সরু, চিকন কিছু স্ট্যান্ড দেখতে পাই সেগুলোতে মুরগি উপুড় করে রেখে দেওয়া হয়। এ রকম করলে কি সহিহ হবে?
আব্দুল্লাহ নাজিব, পঞ্চগড়

উত্তর : একজনে ধরে মুরগি জবাই করা ও স্ট্যান্ডে মুরগিকে উপুড় করে রেখে দেওয়া জায়েজ। তবে প্রাণীকে অযথা কষ্ট দেওয়া মাকরুহ। (মুসলিম : ৩/৫৬১, রদ্দুল মুহতার : ৯/৪২৪, কেফায়াতুল মুফতি : ১১/৬৩৫)

স্বামী ফরজ হজে যেতে না দিলে

প্রশ্ন : এক নারীর ওপর হজ ফরজ হলে তিনি তাঁর স্বামীকে জানানোর পর স্বামী তাঁকে নিয়ে হজে যেতে নিষেধ করেন, অতঃপর স্ত্রী মাহরাম পাওয়ার পর যখন হজে যেতে চাইলেন তখন স্বামী কঠোরভাবে নিষেধ করলেন। এখন জানার বিষয় হলো, এ অবস্থায় স্ত্রী হজে যেতে পারবে কি? এ ক্ষেত্রে স্ত্রীর করণীয় কী?
জাহেদুল ইসলাম, নওগাঁ

উত্তর: স্ত্রীর ওপর হজ ফরজ হওয়ার পর স্বামীর কর্তব্য মাহরাম হিসেবে তাঁর সঙ্গে গিয়ে হজ আদায়ে সাহায্য করা। যদি নিজে যেতে অপারগ হয় তাহলে ইসলামসম্মত উপযুক্ত অন্য কোনো মাহরাম পাওয়া গেলে স্বামী তাঁকে বাধা দেওয়ার অধিকার রাখে না। তাই প্রশ্নোক্ত অবস্থায় স্ত্রীর কর্তব্য হলো প্রথমে স্বামীকে সঙ্গে যেতে রাজি করানো। অথবা তাঁর পছন্দের মাহরামের সঙ্গে যাওয়ার অনুমতি প্রদানের জন্য নিজে অথবা কারো মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করা। (আদ্দুররুল মুখতার : ৬/৪৬৫, রদ্দুল মুহতার : ৬/৪৬৫, আল বাহরুর রায়েক : ২/২৪৩)।

সৌজন্য: দৈনিক কালের কণ্ঠ

দৈনন্দিন বিভিন্ন প্রশ্নের শরিয়ত সম্মত উত্তর দিয়েছে ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বাংলাদেশ, বসুন্ধরা, ঢাকা।