সংবাদ শিরোনাম ::
নীলফামারীতে পরিত্যক্ত জমিতে ভ্যারাইটিজ চাষাবাদে বেশি লাভের আশায় চাষিরা
মো: রায়হান ইসলাম নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি
- আপডেট সময় : ০৬:৪৩:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ২৪ বার পড়া হয়েছে
নীলফামারীতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কলার চাষ। বাড়ির পাশের পতিত জমি, পুকুরের পাড়, এমনকি ফসলি জমিতেও কৃষকেরা চাষ করছেন কলা। বাজারে এর চাহিদা থাকায় ও আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় বাড়ছে কলা চাষ। ইতিমধ্যে অনেকে কলা চাষ করে হয়েছেন স্বাবলম্বী।
কৃষকেরা জমিতে বেশি লাভের আশায় কলার জমিতে চাষ করছেন সাথী ফসল। দেশের অন্য অঞ্চলের মতো নীলফামারীর বিভিন্ন এলাকায় জনপ্রিয় হচ্ছে মিশ্র পদ্ধতিতে সাথী ফসল।
পঞ্চাপুর ইউনিয়নের কাছারিপাড়া এলাকার কলা চাষি মো: সামসুল হক বলেন, প্রতি বিঘা জমিতে কলা চাষের জন্য ৩০০-৩৫০ কলার চারা রোপণ করা যায়। বিঘাপ্রতি খরচ হয় ২০-২৫ হাজার টাকা। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে না পড়লে লাভ হয় প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। গাছ লাগানো থেকে শুরু করে ১১ মাসের মধ্যে কলা কাটা যায়। তা ছাড়া একবার কলার চারা রোপণ করা হলে তিন বছর ভালোভাবে ফলন দিতে পারে, যা অন্য কোনো ফসলের ক্ষেত্রে সম্ভব নয়। তাই অন্যান্য ফসল অল্প কিছু আবাদ করে কলার চাষের দিকেই বেশি মনোযোগী হয়েছি।
তিনি আরো বলেন আমি কলা চাষের পাশাপাশি শসা, টমেটো, মরি, লাগিয়েছি।
তিনি আরো বলেন এগুলো পরিচর্যার জন্য আমি নিয়মিত কৃষি বিভাগের মাঠকর্মীর সাথে যোগাযোগ রাখি, বা তেনার পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করি।
আমরা নীলফামারী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. এস এম আবু বকর সাইফুল ইসলাম স্বদেশ বার্তা২৪ কে বলেন, ‘জেলায় দিন দিন কলা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। সাথী ফসল চাষ জমিতে বেশি আয় করার একটি কৌশল। লাভ বেশি হওয়ায় চাষিরা কলার জমিতে সাথী ফসল চাষ করছেন। কৃষি বিভাগ চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দিচ্ছে।’
ট্যাগস :
নিউজটি শেয়ার করুন
ব্রেকিং নিউজ