ঢাকা ১২:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশের অভিযানে আন্তজেলা চোরচক্রের দুই সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার।

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি মোঃ শফিকুল ইসলাম (শফিক)
  • আপডেট সময় : ০৬:২৮:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪
  • / ৩১ বার পড়া হয়েছে
ঢাকা,পিরোজপুর,বরিশাল জেলা পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশের অভিযানে আন্তঃজেলা চোর চক্রের ০২ সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার হয়েছে এবং বিপুল পরিমান চোরাই স্বর্নালংকার ও নগদ টাকা উদ্ধার।
গত ইং-২৮-০১-২০২৪ তারিখ সকাল অনুমান ১০.৩০ ঘটিকা হতে বেলা অনুমান ১১.২০ ঘটিকার মধ্যবর্তী সময় অজ্ঞাত নামা আসামীরা পটুয়াখালী থানাধীন আরামবাগ এলাকায় আনসার ক্যাম্প সংলগ্ন জনৈক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এর ৫তলা বিশিষ্ট  বাসার ২য় তলার উত্তর পাশের ফ্লাটের ভাড়াটিয়া উজ্জল কর্মকার (৪২) এর  ভাড়া নেওয়া বাসার সামনের দরজার হেজবল ভেঙ্গে বাসার মধ্যে প্রবেশ করে স্ট্রীলের আলমারির ড্রয়ার ভেঙ্গে স্বর্ন ও নগদ টাকা সহ মোট ১৭,৩৫,০০০/-(সতের লক্ষ পয়ত্রিশ হাজার) টাকার মালামাল চুরি করে নিয়া যায় এবং বাদীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে পটুয়াখালী থানায় ৪৫৪/৩৮০ পেনাল কোড ধারায় একটি মামলা রুজু হয়। চুরির ঘটনার পর পরই পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল মোঃ সাজেদুল ইসলাম এর নেতৃত্বে ঘটনাস্থল পরিদর্শন পূর্বক বেশ কয়েকটি টিম মাঠে নেমে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, সিসি টিভি ফুটেজ বিশ্লেষন করে ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তৎপর হয়। অবশেষে পটুয়াখালী সদর থানার একটি চৌকস অভিযানিক দল বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যর ভিত্তিতে চুরির মূল রহস্য উদঘাটনে জন্য রাজধানী ঢাকা, পিরোজপুর ও বরিশাল জেলায় গত ০৩-০৩-২০২৪খ্রিঃ তারিখ বিকাল ০৪.০০ ঘটিকা হতে ০৫-০৩-২০২৪খ্রিঃ তারিখ রাত্র ০২.০০ ঘটিকা পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্ন অভিযান পরিচালনা করে অন্তঃজেলা চোর চক্রের দুই দুধর্ষ সদস্যকে গ্রেফতার করে চোরাই মালামাল ও নগদ অর্থ উদ্ধারে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীঃ
১। মোঃ বাবুল হাওলাদার (৩৯), পিতা মোঃ আবুল কালাম হাওলাদার, মাতা- মুকুল বেগম, সাং- উদয়কাঠী,
থানা- পিরোজপুর, জেলা- পিরোজপুর।
২। নেপাল মজুমদার (৪৮), পিতা অধীর মজুমদার, মাতা- স্বরসতী মজুমদার, সাং- উদয়কাঠী,
থানা- পিরোজপুর, জেলা- পিরোজপুর।
উদ্ধারকৃত চোরাই মালামালঃ
১। স্বর্নের চেইন-০১টি
২। স্বর্নের হাতের বালা-০২টি
৩। গলানো পাঁকা স্বর্ন- ০৫ ভরি ১০ আনা
৪। স্বর্নের অংটি-০৩
৫। স্বর্নের কানের দুল-১জোড়া।
৬। চোরাইকৃত নগদ অর্থ- ১,২৫,০০০/-
৭। চুরির টাকায় ক্রয়কৃত একটি মটরসাইকেল
৮। একটি মোবাইল ফোন।
মামলার তদন্তে পটুয়াখালী পৌরসভার বিভিন্ন সিসি টিভি ফুটেজ বিশ্লেষন,তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার,স্থানীয় ব্যাক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও গোয়েন্দা তথ্যর ভিত্তিতে নীল রংয়ের শার্ট পরিহিত এক অপরিচিত ব্যক্তিকে সনাক্ত করা হয়। সে পটুয়াখালী জেলায় এসে নিজেকে ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে একটি বোডিং হোটেলে অবস্থান করে দিনের বেলায় চুরি করার উদ্দেশ্যে পৌর এলাকায় বিভিন্ন অলিগলিতে ভবঘুরের মত ঘুরে বেড়িয়ে লোকজনের অগোচরে বাসায় প্রবেশ করে এবং নিমিশেই তালাবদ্ধ ঘরের তালা ভেঙ্গে নগদ টাকা ও স্বর্নালংকার চুরি করিয়া নিয়া যায়। এরুপ তথ্যর ভিত্তিতে ইং ০৩-০৩-২০২৪ তারিখ বিকাল ০৪.০০ ঘটিকায় ঢাকার জেলার দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানাধীন আগা-নগর এলাকায় আসামী মোঃ বাবুল হাওলাদার এর বোনের ভাড়াটিয়া বাসা হইতে চোর চক্রের মুল হোতা মোঃ বাবুল হাওলাদার (৩৯), পিতা মোঃ আবুল কালাম হাওলাদার, নগদ ১,২৫,০০০/-টাকা ও চোরাই কাজে ব্যবহৃত মোবাইল সেটসহ আটক করা হয়। চোর চক্রের মুল হোতা মোঃ বাবুল হাওলাদার (৩৯) কে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় চোরাইকৃত স্বর্নালংকার তার পিরোজপুর জেলায় নিজ এলাকার বাসিন্দা আসামী নেপাল মজুমদার (৪৮) এর নিকট বিক্রি করেছে। এরুপ তথ্য মতে অভিযানিক টিম পিরোজপুর সদর থানাধীন উদয়কাঠী এলাকা হতে  আসামী নেপাল মজুমদার (৪৮) কে চোরাইকৃত স্বর্নালংকার(হাতের বালা,চেইন, কানের দুল, অংটি) সহ আটক করে এবং বাকী স্বর্নালংকার তার তথ্যমতে বরিশাল স্বর্ন পট্টি মোহাম্মদ স্টোর এন্ড জুয়েলারী হইতে ৫ ভরি ১০ আনা গলানো পাকা স্বর্ন উদ্ধার করা হয়। আসামী মোঃ বাবুল হাওলাদার (৩৯) জানায় যে, চোরাইকৃত স্বর্নালংকার বিক্রিত টাকা ও নগদ টাকা তার বিভিন্ন মোবাইল ব্যাকিং হিসাব ও ব্যাংক এ্যাকাউন্টে জমা করে এবং সস্প্রতি উক্ত টাকা দিয়ে একটি এ্যাপাসি ফোর-বি মটর সাইকেল ক্রয় করে। উক্ত মটর সাইকেলটি পিরোজপুর জেলা পুলিশের সহায়তায় আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় চোর চক্রের মুল হোতা বাবুল হাওলাদার পূর্বে ঢাকার কেরানীগঞ্জে একটি ভংগাড়ি ও ময়লার ব্যবসায়ী ছিল,কিন্তু ব্যবসায় তেমন লাভবান না হওয়ায় ২০২০ সালের দিকে দক্ষিন কেরানীগঞ্জের জনৈক চোরা আলামিন কাছে থেকে চুরি বিদ্যা শিখে সে চুরি পেশায় জড়িয়ে যায়। সে ঢাকা ও ঢাকার আশেপাশে জেলায়, বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলায় চুরি করে আসছিল বলে জানায়। তার টার্গেট থাকত দিনের বেলায় তালাবদ্ধ বাসা। সে খুব দ্রæত তালা ভাংতে পারদর্শী এবং প্রশিক্ষন প্রাপ্ত, ১০/১৫ মিনিটের মধ্যে তালা ভেঙ্গে গৃহে প্রবেশ করে স্টীলের আলমারী ও ওয়ার ড্রপ ভেঙ্গে চুরি করতে সক্ষম এবং সে চুরি ও চোরাই মালামাল বিক্রির অন্তঃজেলা একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলে রাতারাতি অনেক অবৈধ টাকা পয়সার মালিক হয়, কিন্তু নিজ এলাকা পিরোজপুর জেলার সদর থানাধীন উদয় কাঠিতে সে নিজেকে একজন ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচয় দিত। জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, সস্প্রতি একটি তফশিলি ব্যাংকে সঞ্চয়ী হিসাব খুলে চুরির টাকা জমিয়ে সে ইতালি যাওয়ায় পরিকল্পনা করছিল এবং তার ব্যাংক হিসাবে ও মোবাইল ব্যাকিং হিসাবে প্রচুর সন্দেহ জনক লেনদেন আছে বলে তদন্তে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত নেপাল মজুমদার একজন ক্ষুদ্র জুয়েলারি ব্যবসায়ী, সে বাবুলের চোরাই স্বর্ন লঙ্কার কিনে তার গলিয়ে বরিশালে বিক্রি করতে সহায়তা আসাছিল ।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করলে উভয়ই ফৌঃকাঃবিঃ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে। বাবুলের গঠিত চোর চক্রের অন্যান্য সদস্যদের তথ্য সংগ্রহ পূর্বক গ্রেফতারে পটুয়াখালী জেলা পুলিশের জোর প্রচেষ্টা অব্যহত আছে।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
39
অনলাইন জরিপ

জামায়াত বিএনপির সঙ্গ ত্যাগ করায় বিএনপির সঙ্গে অন্যান্য ইসলামী ধারার দলগুলোর দূরত্ব কমার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন কি?

ব্রেকিং নিউজ

পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশের অভিযানে আন্তজেলা চোরচক্রের দুই সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার।

আপডেট সময় : ০৬:২৮:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪
ঢাকা,পিরোজপুর,বরিশাল জেলা পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশের অভিযানে আন্তঃজেলা চোর চক্রের ০২ সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার হয়েছে এবং বিপুল পরিমান চোরাই স্বর্নালংকার ও নগদ টাকা উদ্ধার।
গত ইং-২৮-০১-২০২৪ তারিখ সকাল অনুমান ১০.৩০ ঘটিকা হতে বেলা অনুমান ১১.২০ ঘটিকার মধ্যবর্তী সময় অজ্ঞাত নামা আসামীরা পটুয়াখালী থানাধীন আরামবাগ এলাকায় আনসার ক্যাম্প সংলগ্ন জনৈক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এর ৫তলা বিশিষ্ট  বাসার ২য় তলার উত্তর পাশের ফ্লাটের ভাড়াটিয়া উজ্জল কর্মকার (৪২) এর  ভাড়া নেওয়া বাসার সামনের দরজার হেজবল ভেঙ্গে বাসার মধ্যে প্রবেশ করে স্ট্রীলের আলমারির ড্রয়ার ভেঙ্গে স্বর্ন ও নগদ টাকা সহ মোট ১৭,৩৫,০০০/-(সতের লক্ষ পয়ত্রিশ হাজার) টাকার মালামাল চুরি করে নিয়া যায় এবং বাদীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে পটুয়াখালী থানায় ৪৫৪/৩৮০ পেনাল কোড ধারায় একটি মামলা রুজু হয়। চুরির ঘটনার পর পরই পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল মোঃ সাজেদুল ইসলাম এর নেতৃত্বে ঘটনাস্থল পরিদর্শন পূর্বক বেশ কয়েকটি টিম মাঠে নেমে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, সিসি টিভি ফুটেজ বিশ্লেষন করে ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তৎপর হয়। অবশেষে পটুয়াখালী সদর থানার একটি চৌকস অভিযানিক দল বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যর ভিত্তিতে চুরির মূল রহস্য উদঘাটনে জন্য রাজধানী ঢাকা, পিরোজপুর ও বরিশাল জেলায় গত ০৩-০৩-২০২৪খ্রিঃ তারিখ বিকাল ০৪.০০ ঘটিকা হতে ০৫-০৩-২০২৪খ্রিঃ তারিখ রাত্র ০২.০০ ঘটিকা পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্ন অভিযান পরিচালনা করে অন্তঃজেলা চোর চক্রের দুই দুধর্ষ সদস্যকে গ্রেফতার করে চোরাই মালামাল ও নগদ অর্থ উদ্ধারে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীঃ
১। মোঃ বাবুল হাওলাদার (৩৯), পিতা মোঃ আবুল কালাম হাওলাদার, মাতা- মুকুল বেগম, সাং- উদয়কাঠী,
থানা- পিরোজপুর, জেলা- পিরোজপুর।
২। নেপাল মজুমদার (৪৮), পিতা অধীর মজুমদার, মাতা- স্বরসতী মজুমদার, সাং- উদয়কাঠী,
থানা- পিরোজপুর, জেলা- পিরোজপুর।
উদ্ধারকৃত চোরাই মালামালঃ
১। স্বর্নের চেইন-০১টি
২। স্বর্নের হাতের বালা-০২টি
৩। গলানো পাঁকা স্বর্ন- ০৫ ভরি ১০ আনা
৪। স্বর্নের অংটি-০৩
৫। স্বর্নের কানের দুল-১জোড়া।
৬। চোরাইকৃত নগদ অর্থ- ১,২৫,০০০/-
৭। চুরির টাকায় ক্রয়কৃত একটি মটরসাইকেল
৮। একটি মোবাইল ফোন।
মামলার তদন্তে পটুয়াখালী পৌরসভার বিভিন্ন সিসি টিভি ফুটেজ বিশ্লেষন,তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার,স্থানীয় ব্যাক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও গোয়েন্দা তথ্যর ভিত্তিতে নীল রংয়ের শার্ট পরিহিত এক অপরিচিত ব্যক্তিকে সনাক্ত করা হয়। সে পটুয়াখালী জেলায় এসে নিজেকে ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে একটি বোডিং হোটেলে অবস্থান করে দিনের বেলায় চুরি করার উদ্দেশ্যে পৌর এলাকায় বিভিন্ন অলিগলিতে ভবঘুরের মত ঘুরে বেড়িয়ে লোকজনের অগোচরে বাসায় প্রবেশ করে এবং নিমিশেই তালাবদ্ধ ঘরের তালা ভেঙ্গে নগদ টাকা ও স্বর্নালংকার চুরি করিয়া নিয়া যায়। এরুপ তথ্যর ভিত্তিতে ইং ০৩-০৩-২০২৪ তারিখ বিকাল ০৪.০০ ঘটিকায় ঢাকার জেলার দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানাধীন আগা-নগর এলাকায় আসামী মোঃ বাবুল হাওলাদার এর বোনের ভাড়াটিয়া বাসা হইতে চোর চক্রের মুল হোতা মোঃ বাবুল হাওলাদার (৩৯), পিতা মোঃ আবুল কালাম হাওলাদার, নগদ ১,২৫,০০০/-টাকা ও চোরাই কাজে ব্যবহৃত মোবাইল সেটসহ আটক করা হয়। চোর চক্রের মুল হোতা মোঃ বাবুল হাওলাদার (৩৯) কে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় চোরাইকৃত স্বর্নালংকার তার পিরোজপুর জেলায় নিজ এলাকার বাসিন্দা আসামী নেপাল মজুমদার (৪৮) এর নিকট বিক্রি করেছে। এরুপ তথ্য মতে অভিযানিক টিম পিরোজপুর সদর থানাধীন উদয়কাঠী এলাকা হতে  আসামী নেপাল মজুমদার (৪৮) কে চোরাইকৃত স্বর্নালংকার(হাতের বালা,চেইন, কানের দুল, অংটি) সহ আটক করে এবং বাকী স্বর্নালংকার তার তথ্যমতে বরিশাল স্বর্ন পট্টি মোহাম্মদ স্টোর এন্ড জুয়েলারী হইতে ৫ ভরি ১০ আনা গলানো পাকা স্বর্ন উদ্ধার করা হয়। আসামী মোঃ বাবুল হাওলাদার (৩৯) জানায় যে, চোরাইকৃত স্বর্নালংকার বিক্রিত টাকা ও নগদ টাকা তার বিভিন্ন মোবাইল ব্যাকিং হিসাব ও ব্যাংক এ্যাকাউন্টে জমা করে এবং সস্প্রতি উক্ত টাকা দিয়ে একটি এ্যাপাসি ফোর-বি মটর সাইকেল ক্রয় করে। উক্ত মটর সাইকেলটি পিরোজপুর জেলা পুলিশের সহায়তায় আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় চোর চক্রের মুল হোতা বাবুল হাওলাদার পূর্বে ঢাকার কেরানীগঞ্জে একটি ভংগাড়ি ও ময়লার ব্যবসায়ী ছিল,কিন্তু ব্যবসায় তেমন লাভবান না হওয়ায় ২০২০ সালের দিকে দক্ষিন কেরানীগঞ্জের জনৈক চোরা আলামিন কাছে থেকে চুরি বিদ্যা শিখে সে চুরি পেশায় জড়িয়ে যায়। সে ঢাকা ও ঢাকার আশেপাশে জেলায়, বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলায় চুরি করে আসছিল বলে জানায়। তার টার্গেট থাকত দিনের বেলায় তালাবদ্ধ বাসা। সে খুব দ্রæত তালা ভাংতে পারদর্শী এবং প্রশিক্ষন প্রাপ্ত, ১০/১৫ মিনিটের মধ্যে তালা ভেঙ্গে গৃহে প্রবেশ করে স্টীলের আলমারী ও ওয়ার ড্রপ ভেঙ্গে চুরি করতে সক্ষম এবং সে চুরি ও চোরাই মালামাল বিক্রির অন্তঃজেলা একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলে রাতারাতি অনেক অবৈধ টাকা পয়সার মালিক হয়, কিন্তু নিজ এলাকা পিরোজপুর জেলার সদর থানাধীন উদয় কাঠিতে সে নিজেকে একজন ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচয় দিত। জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, সস্প্রতি একটি তফশিলি ব্যাংকে সঞ্চয়ী হিসাব খুলে চুরির টাকা জমিয়ে সে ইতালি যাওয়ায় পরিকল্পনা করছিল এবং তার ব্যাংক হিসাবে ও মোবাইল ব্যাকিং হিসাবে প্রচুর সন্দেহ জনক লেনদেন আছে বলে তদন্তে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত নেপাল মজুমদার একজন ক্ষুদ্র জুয়েলারি ব্যবসায়ী, সে বাবুলের চোরাই স্বর্ন লঙ্কার কিনে তার গলিয়ে বরিশালে বিক্রি করতে সহায়তা আসাছিল ।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করলে উভয়ই ফৌঃকাঃবিঃ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে। বাবুলের গঠিত চোর চক্রের অন্যান্য সদস্যদের তথ্য সংগ্রহ পূর্বক গ্রেফতারে পটুয়াখালী জেলা পুলিশের জোর প্রচেষ্টা অব্যহত আছে।