ঢাকা ০৮:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পদ্মা সেতুতে দৈনিক আয় সোয়া ২ কোটি, সংসদে প্রধানমন্ত্রী

স্বদেশে বার্তা ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:২৭:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৩৩ বার পড়া হয়েছে

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে গত ১৯ মাসে মোট টোল আদায় হয়েছে এক হাজার ২৭০ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এই হিসাবে দৈনিক গড় আয় দুই কোটি ১৮ লাখ টাকা।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে নির্মিত সবচেয়ে দীর্ঘতম সেতু পদ্মা বহুমুখী। যা ২০২২ সালের ২৫ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় এবং একই বছরের ২৬ জুন থেকে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, উদ্বোধনের পর থেকে সেতু পারাপারকারী যানবাহন থেকে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট এক হাজার ২৭০ কোটি ৮১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৫০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। উদ্বোধনের পরে এক বছরেই (২০২৩ সালের ২৫ জুন পর্যন্ত) আয় হয়েছে প্রায় ৭৯৮ কোটি ২৩ লাখ ১৬ হাজার টাকা এবং দৈনিক গড় আয় প্রায় দুই কোটি ১৮ লাখ টাকা।

তিনি আরও বলেন, সেতুটি দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রেখেছে। দক্ষিণাঞ্চলের ১৯টি জেলার সঙ্গে ঢাকাসহ পূর্বাঞ্চলের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। এছাড়া বছরে শ্রমশক্তির প্রায় ১ দশমিক ৪ শতাংশের কর্মসংস্থান ঘটেছে। এই সেতু নির্মাণের ফলে সারা দেশে দশমিক ৮৪ শতাংশ দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে, জিডিপি প্রবৃদ্ধি- দক্ষিণাঞ্চলে ২ দশমিক ৫ শতাংশ এবং সামগ্রিকভাবে ১ দশমিক ২৩ শতাংশ।

সরকারপ্রধান বলেন, এছাড়া ট্রান্স এশিয়ান রেল ও সড়ক এ সেতুর মাধ্যমেই যুক্ত হবে। বাণিজ্য, শিল্পায়ন ও পর্যটন ত্বরান্বিত হবে। এরই মধ্যে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আর্থ-সামাজিক জীবনচিত্র পাল্টে গিয়ে ব্যাপক কর্মচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতির এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় এক কোটি লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং বছরে অতিরিক্ত ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ দামের পণ্য ও সেবা উৎপাদন/রপ্তানি করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
39
অনলাইন জরিপ

জামায়াত বিএনপির সঙ্গ ত্যাগ করায় বিএনপির সঙ্গে অন্যান্য ইসলামী ধারার দলগুলোর দূরত্ব কমার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন কি?

ব্রেকিং নিউজ

পদ্মা সেতুতে দৈনিক আয় সোয়া ২ কোটি, সংসদে প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৬:২৭:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে গত ১৯ মাসে মোট টোল আদায় হয়েছে এক হাজার ২৭০ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এই হিসাবে দৈনিক গড় আয় দুই কোটি ১৮ লাখ টাকা।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে নির্মিত সবচেয়ে দীর্ঘতম সেতু পদ্মা বহুমুখী। যা ২০২২ সালের ২৫ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় এবং একই বছরের ২৬ জুন থেকে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, উদ্বোধনের পর থেকে সেতু পারাপারকারী যানবাহন থেকে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট এক হাজার ২৭০ কোটি ৮১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৫০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। উদ্বোধনের পরে এক বছরেই (২০২৩ সালের ২৫ জুন পর্যন্ত) আয় হয়েছে প্রায় ৭৯৮ কোটি ২৩ লাখ ১৬ হাজার টাকা এবং দৈনিক গড় আয় প্রায় দুই কোটি ১৮ লাখ টাকা।

তিনি আরও বলেন, সেতুটি দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রেখেছে। দক্ষিণাঞ্চলের ১৯টি জেলার সঙ্গে ঢাকাসহ পূর্বাঞ্চলের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। এছাড়া বছরে শ্রমশক্তির প্রায় ১ দশমিক ৪ শতাংশের কর্মসংস্থান ঘটেছে। এই সেতু নির্মাণের ফলে সারা দেশে দশমিক ৮৪ শতাংশ দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে, জিডিপি প্রবৃদ্ধি- দক্ষিণাঞ্চলে ২ দশমিক ৫ শতাংশ এবং সামগ্রিকভাবে ১ দশমিক ২৩ শতাংশ।

সরকারপ্রধান বলেন, এছাড়া ট্রান্স এশিয়ান রেল ও সড়ক এ সেতুর মাধ্যমেই যুক্ত হবে। বাণিজ্য, শিল্পায়ন ও পর্যটন ত্বরান্বিত হবে। এরই মধ্যে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আর্থ-সামাজিক জীবনচিত্র পাল্টে গিয়ে ব্যাপক কর্মচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতির এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় এক কোটি লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং বছরে অতিরিক্ত ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ দামের পণ্য ও সেবা উৎপাদন/রপ্তানি করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।