ঢাকা ০৩:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাল্টিমোরে সেতু ধস: ডুবে যাওয়া ট্রাক থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার

স্বদেশে বার্তা ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:০৮:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
  • / ১৪ বার পড়া হয়েছে

সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় ডুবে যাওয়া একটি পিকআপ ট্রাক থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

পণ্যবাহী জাহাজটি গত সোমবার সেতুটিকে যখন ধাক্কা দেয়, তখন এটির ওপর আট নির্মাণকর্মী কাজ করছিলেন। সেতু ভেঙে পড়ার পর তাঁরা নিচে নদীতে পড়ে যান।

দুর্ঘটনার দিনই দুই কর্মীকে উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ ছিলেন ছয়জন। এখন দুজনের মরদেহ পাওয়া গেল। নিখোঁজ অপর চারজনের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চলছে। তবে তাঁরাও বেঁচে নেই বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নিখোঁজ চারজনের সন্ধান চালানোর পাশাপাশি দুর্ঘটনাস্থলে বিপজ্জনক বস্তু শনাক্তে কাজ করছেন উদ্ধারকর্মীরা। এ ছাড়া ঘটনাস্থলে আছেন তদন্তকারীরা।

দুর্ঘটনায় নিখোঁজ চারজন ও মৃত দুজনের মধ্যে এখন পর্যন্ত চারজনের নাম–পরিচয় জানা গেছে।

গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, ডুবে যাওয়া ট্রাকটির ভেতর থেকে ডুবুরিরা যে দুজনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেছেন তাঁরা হলেন, আলোজান্দ্রো হার্নান্দেজ ফুয়েন্টেস (৩৫) ও ডরলিয়ান রনিয়াল ক্যাস্টিলো ক্যাবরেরা (২৬)। ফুয়েন্টেস মেক্সিকো ও ক্যাবরেরা গুয়াতেমালার বাসিন্দা ছিলেন।

পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, ডুবুরিরা নিরাপদে কাজ করতে পারছেন না। কেননা ঘটনাস্থলে সেতুর ধসে পড়া কনক্রিটের কাঠামো ও অন্যান্য ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। নদীতে ডুবে থাকা গাড়িতে নিখোঁজ অন্যদের মরদেহ থাকতে পারে। গাড়িগুলো কনক্রিটের কাঠামোতে আটকে আছে।

নিখোঁজ চারজনের মধ্যে যে দুজনের নাম গেছে, তাঁরা হলেন এল সালভেদরের মিগুয়েল লুনা ও হন্ডুরাসের মেনর সুয়েজো স্যানডোভাল।

ইতিপূর্বে মেক্সিকোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছিল, দুর্ঘটনায় তাদের দুই নাগরিক মারা গিয়ে থাকতে পারেন। পরে তাঁদের একজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। আর অপরজন আলোজান্দ্রো হার্নান্দেজ ফুয়েন্টেস।

কর্মকর্তারা গতকাল দিনের শেষে জানান, দুর্ঘটনার পর জীবিত উদ্ধার করা দুজনের একজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে।

এদিকে দুর্ঘটনার পর পণ্যবাহী জাহাজটি এখন পর্যন্ত নিরাপদ অবস্থায় আছে বলে কর্মকর্তারা জানান। তবে এটিতে ১৫ লাখ গ্যালনের বেশি জ্বালানি তেল ও লুব অয়েল রয়েছে। এ ছাড়া পণ্যবোঝাই প্রায় ৪ হাজার ৭০০ কনটেইনার রয়েছে এটিতে। এসব কনটেইনারের ৫৬টিতে রয়েছে বিপজ্জনক উপকরণ।

স্থানীয় সময় সোমবার দিবাগত রাত ১টা ৩০ মিনিটের দিকে পাতাপসকো নদীর মুখে ফ্রান্সিস স্কট কি সেতুর একটি ভিত্তিস্তম্ভের সঙ্গে জাহাজটির ধাক্কা লাগে। সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী জাহাজটির নাম দালি। এটি বাল্টিমোর পোতাশ্রয় থেকে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। দুর্ঘটনার আগে জাহাজটির ‘বিদ্যুৎ–সংযোগব্যবস্থা’ অকার্যকর হয়ে পড়েছিল।

জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পর সঙ্গে সঙ্গে সেতুটির একটি অংশ বরফশীতল পানিতে ভেঙে পড়ে। এতে সেতুতে থাকা গাড়ি ও মানুষ নদীতে পড়ে যায়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
39
অনলাইন জরিপ

জামায়াত বিএনপির সঙ্গ ত্যাগ করায় বিএনপির সঙ্গে অন্যান্য ইসলামী ধারার দলগুলোর দূরত্ব কমার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন কি?

ব্রেকিং নিউজ

বাল্টিমোরে সেতু ধস: ডুবে যাওয়া ট্রাক থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় : ১০:০৮:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় ডুবে যাওয়া একটি পিকআপ ট্রাক থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

পণ্যবাহী জাহাজটি গত সোমবার সেতুটিকে যখন ধাক্কা দেয়, তখন এটির ওপর আট নির্মাণকর্মী কাজ করছিলেন। সেতু ভেঙে পড়ার পর তাঁরা নিচে নদীতে পড়ে যান।

দুর্ঘটনার দিনই দুই কর্মীকে উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ ছিলেন ছয়জন। এখন দুজনের মরদেহ পাওয়া গেল। নিখোঁজ অপর চারজনের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চলছে। তবে তাঁরাও বেঁচে নেই বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নিখোঁজ চারজনের সন্ধান চালানোর পাশাপাশি দুর্ঘটনাস্থলে বিপজ্জনক বস্তু শনাক্তে কাজ করছেন উদ্ধারকর্মীরা। এ ছাড়া ঘটনাস্থলে আছেন তদন্তকারীরা।

দুর্ঘটনায় নিখোঁজ চারজন ও মৃত দুজনের মধ্যে এখন পর্যন্ত চারজনের নাম–পরিচয় জানা গেছে।

গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, ডুবে যাওয়া ট্রাকটির ভেতর থেকে ডুবুরিরা যে দুজনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেছেন তাঁরা হলেন, আলোজান্দ্রো হার্নান্দেজ ফুয়েন্টেস (৩৫) ও ডরলিয়ান রনিয়াল ক্যাস্টিলো ক্যাবরেরা (২৬)। ফুয়েন্টেস মেক্সিকো ও ক্যাবরেরা গুয়াতেমালার বাসিন্দা ছিলেন।

পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, ডুবুরিরা নিরাপদে কাজ করতে পারছেন না। কেননা ঘটনাস্থলে সেতুর ধসে পড়া কনক্রিটের কাঠামো ও অন্যান্য ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। নদীতে ডুবে থাকা গাড়িতে নিখোঁজ অন্যদের মরদেহ থাকতে পারে। গাড়িগুলো কনক্রিটের কাঠামোতে আটকে আছে।

নিখোঁজ চারজনের মধ্যে যে দুজনের নাম গেছে, তাঁরা হলেন এল সালভেদরের মিগুয়েল লুনা ও হন্ডুরাসের মেনর সুয়েজো স্যানডোভাল।

ইতিপূর্বে মেক্সিকোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছিল, দুর্ঘটনায় তাদের দুই নাগরিক মারা গিয়ে থাকতে পারেন। পরে তাঁদের একজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। আর অপরজন আলোজান্দ্রো হার্নান্দেজ ফুয়েন্টেস।

কর্মকর্তারা গতকাল দিনের শেষে জানান, দুর্ঘটনার পর জীবিত উদ্ধার করা দুজনের একজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে।

এদিকে দুর্ঘটনার পর পণ্যবাহী জাহাজটি এখন পর্যন্ত নিরাপদ অবস্থায় আছে বলে কর্মকর্তারা জানান। তবে এটিতে ১৫ লাখ গ্যালনের বেশি জ্বালানি তেল ও লুব অয়েল রয়েছে। এ ছাড়া পণ্যবোঝাই প্রায় ৪ হাজার ৭০০ কনটেইনার রয়েছে এটিতে। এসব কনটেইনারের ৫৬টিতে রয়েছে বিপজ্জনক উপকরণ।

স্থানীয় সময় সোমবার দিবাগত রাত ১টা ৩০ মিনিটের দিকে পাতাপসকো নদীর মুখে ফ্রান্সিস স্কট কি সেতুর একটি ভিত্তিস্তম্ভের সঙ্গে জাহাজটির ধাক্কা লাগে। সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী জাহাজটির নাম দালি। এটি বাল্টিমোর পোতাশ্রয় থেকে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। দুর্ঘটনার আগে জাহাজটির ‘বিদ্যুৎ–সংযোগব্যবস্থা’ অকার্যকর হয়ে পড়েছিল।

জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পর সঙ্গে সঙ্গে সেতুটির একটি অংশ বরফশীতল পানিতে ভেঙে পড়ে। এতে সেতুতে থাকা গাড়ি ও মানুষ নদীতে পড়ে যায়।