যুদ্ধের ময়দান নামার পর যুদ্ধের জিতে যাওয়ার কৌশল নিজের-তন্নী খাতুন
- আপডেট সময় : ১০:৫৩:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩
- / ১৫৭ বার পড়া হয়েছে
কুষ্টিয়ার অতি পরিচিতো মুখ তন্নী খাতুন। তন্নীর কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নে জন্ম।পেশায় একজন(চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের)উদ্যাক্তা।পড়াশোনা করছেন: শেখপাড়া দুখী মাহমুদ কলেজ অনার্স ফাইনাল ইয়ার(সমাজবিজ্ঞান)। তার পরিবারে রয়েছে বাবা,মা,বোন,ভাগ্নে(৪টা)। বাবার নাম:মো:ওমর আলী মিয়া,মায়ের নাম:শিউলী খাতুন।তন্নী মূলত একজন সমাজকর্মকার। সব সময় তার অফিসের কাজের ফাঁকে ফাঁকে নিজেকে ব্যাস্ত রাখে এমন কর্মকান্ডে। তন্নীর সমাজকল্যাণ কাজ:তন্নীর সাথে কথা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান,ওয়ান ওয়ে স্কুল-এর সাথে সেন্টাল প্রোমোশন ম্যানেজার হিসেবে যুক্ত আছি,যে প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে “অদক্ষ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করা”।
আমি রিহ্যাবিলিটেশন অফ হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন মেম্বার এর মুল লক্ষ্য অসহায়,ববঞ্চিত,সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষ দের পাশে থাকা। VBD -Kushtia district এর সাথে যুক্ত আছি,যারা সমাজের বিভিন্ন কাজে মানুষ এর পাশে থাকে।এছাড়াও রক্ত নিয়ে কাজ করতে আমার ভিষণ ভালো লাগে তাই যত গুলো রক্তের সংগঠন গুলো আছে অই সংগঠন গুলোর সাথে কাজ করে আচ্ছি। এবং এর পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন গুলোর সাথে নিরালশ কাজ করে আচ্ছি।
আমাদের হতাশা নামক এই সমস্যা টা আমাদের লক্ষ্য থেকে পিছিয়ে দেয়। নিজেকে নতুন দিগন্ত সফলতা আনতে হবে। আমি সামাজিক সংগঠন গুলো করতে যেয়ে অনেক কিছু শিখেছি এমন টিম পেয়েছি যারা নিজের পরিবারের মতো, কাজের প্রাপ্তি হিসেবে সকল সদস্যদের দোয়া ও ভালোবাসা অতুলনীয়।
সামাজিক সংগঠন গুলোর সাথে কাজ করতে গিয়ে পেয়েছি নতুন এক পরিবার, যেখানে শাসন,ভালোবাসা সকল কিছু বিদ্যমান। আমার ২৪ বছরের পথ চলা অনেক বাধা সম্মুখীন হয়েছি,, আমি চাকরির পাশাপাশি এই সামাজিক সংগঠন গুলোর সাথে সময় দিতে ভিষণ ভাল লাগে ভালোবাসা জায়গা থেকে আমি কাজ করি। অনেকেই বলে এত কাজ করার পরেও কিভাবে কাজ করো আমি বলি যে কাজ ভালোবাসা দিয়ে করা যায় তাতে কোন সমস্যা সৃষ্টি হয় না।
আলহামদুলিল্লাহ যেখানে চাকরি করি সু নামের সাথে ৫ টা বছর কাটিয়ে দিলাম।
আমার অনুপ্রেরণা ব্যক্তি:শাহরিয়ার ইমন ভাইয়ের সহ আমার অনেক ব্যক্রি আছে তাদের ঋণ কখনো শোধ দিতে পারবো না কারণ খারাপ ক্রাইসিস তারাই আমার পাশে ছিলো। মো:মোক্তার হোসেন ভাইয়ার অনুপ্রেরণা পেয়ে আমি এগিয়ে যাচ্ছি হাজার বাধা আসলেও কিছু মনে হয় না। আমার সব থেকে বড় মোটিভেশনাল একজন ব্যক্তি মো: চপল আশিকুর ভাই যে মানুষ টি কাজ দেখে আমি ভিষণ অনুপ্রেরণা পেয়ে থাকি।
আমার সাথে আজ অব্দি যে মানুষ গুলো সাপোর্ট দিয়েছে তাদের ঋন হয়ত বা কখনো শোধ দিতে পারবো না অই মানুষ গুলোর প্রতি আমার দোয়া রইল সব সময়।
আমার বন্ধু বান্ধবী শুভাকাঙ্ক্ষী সবাই আমার পাশে আছে বলে আজ অব্দি আমি অনেক বাধার পরেও নিজেকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমার প্রিয় ছোট বোন ফারিয়া,ছোট ভাই সাফায়েত এদের পাগলামী অনেক সময় আমাকে খুশি রাখে। সবার অনুপ্রেরণা এবং দোয়া একদিন ভালো কিছু করতে পারি।